বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
১৮৯০ দশকে মাঝামাঝি সময়ে প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা পৌরসভা ছিল কুমিল্লা পৌর শহরের প্রথম প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান। এটির নির্বাহী প্রধান নাগরিকদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হতেন।
সিটি কর্পোরেশন আত্মপ্রকাশের আগে কুমিল্লা পৌর শহর প্রায় ১২৫ বছরের অধিক সময় যাবত পৌরসভার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছিল। এই সময়ে কুমিল্লার রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক গুরুত্ব এবং জনসংখ্যা উভয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় ১০ জুলাই, ২০১১ তারিখে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন গঠন ও এর কার্যক্রম আরম্ভের ঘোষণা দেয়া হয়।
বিশ্বের নামী-দামী শহর গুলো নিমার্ণের পেছনে একটি দর্শন রয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সেখানকার নাগরিক সভ্যতা, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ, মানবিকতা, জীবনাচরণ, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও শহরটির আগামীর পথরেখা। ১৩২ বছরের কুমিল্লা নগর পরিত্যাক্তের অবস্থায় সম্মুখীন। রাজা আসে রাজা যায় বদলায় না নগরবাসীর ভাগ্য। রাজাদের দেশে-বিদেশে সম্পদ রাড়লেও বাড়ে না নগরবাসীর স্বস্তির নিঃশ্বাস। রুম নগরীও যেমন একদিনে তৈরি হয়নি তেমনি কুমিল্লা নগরীও একদিনে তৈরি হবে না। তবে ১৩২ বছরের এই নাগরিক শহর স্মার্ট সিটি হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় ছিল। রাজনৈতিক বিভাজন বা ব্যর্থতা যাই বলি না কেন এ কথা সত্য কুমিল্লা একটি অপরিকল্পিত শহর। এই মুহুর্তে কুমিল্লার জন্য একজন আনিসুল হক বা একজন খায়রুজ্জামান লিটন দরকার। বুক চেতিয়ে কুমিল্লাকে রক্ষা করার জন্য একজন সুনাগরিক সেবক দরকার। যিনি হবেন শিক্ষিত, মার্জিত ও দূর্দর্শি। নির্বাচিত হলে প্রথমেই কুমিল্লা সিটিকে একটি দার্শনিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর প্রয়াস নেবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। যেখানে নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে সবকিছুর ওপরে। মানুষের অধিকার থাকবে সুরক্ষিত ।
গত ২০ বছর নিবিরভাবে কুমিল্লা শহরের অলিগলিতে আমার পথচলার সুযোগ হয়েছিল সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার সুবাধে। আমার মনে হয়েছে আসন্ন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে ঘিরে মেয়র প্রার্থীদের দৃষ্টি সীমায় কিছু ভাবনা নিয়ে আসা যায়। তাই বিভিন্ন পর্যায়ে নাগরিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মতামত সংগ্রহ করি। দশ বছরে কুমিল্লা মহানগরীতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সভা, সেমিনারে প্রদত্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য, পরামর্শ ও সুপারিশ পর্যালোচনা করা হয়েছে। গবেষণা করা হয়েছে দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের সফল রূপরেখা। এছাড়াও সময়ের প্রেক্ষাপটে বাস্তবতার নিরেখে কুমিল্লার বিশিষ্ট নাগরিকদের কুমিল্লার স্থানীয় পত্রিকায় প্রদত্ত কলাম, মতামত পর্বসহ দেশের জাতীয় পত্রিকায় দেশ বরেণ্য ব্যক্তিদের মতামতের অংশও ক্ষেত্র বিশেষে সংযুক্ত করা হয়েছে।
শত ভাবনার প্রস্তাবনায় টেকসই নগর ও সম্প্রদায় গঠনে ১০টি অগ্রাধিকার পদক্ষেপ:
০১. আগামী শত বছরের পরিকল্পনায় বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের মতামতাদের ভিত্তিতে সুপরিকল্পিত নগরায়নের রোড়ম্যাপ তৈরি করা।
০২. সুষ্ঠ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও কার্যকর রিসাক্লিনে পদক্ষেপ নেওয়া।
০৩. জলাবদ্ধতা দূরকরণে সংশ্লিষ্ট নদী ও খালকে ঢেলে সাজানো।
০৪. সড়ক স¤প্রসারণ ও ফুটপাত নিয়ন্ত্রণে সুষ্ঠ ব্যবস্থাúনা মাধ্যমে যানজট ও জনজট দূরকরণে কার্যকর সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ।
০৫. কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্র ধর্মসাগর পার্ককে বাণিজ্যমুক্ত ও শব্দ দূষণমুক্ত করে নগরবাসীর স্বস্তির জায়গায় নিয়ে আসা।
০৬. সুপরিকল্পিতভাবে আবাসন ব্যবস্থা গঠন ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে পদক্ষেপ।
০৭. সর্বত্রই পরিচ্ছন্নতা এবং সবুজায়নের মাধ্যমে নগরকে দৃষ্টিনন্দিত করা।
০৮. আগামী প্রজন্মকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে কিশোর গ্যাং, মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত নগর গড়া।
০৯. শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-মূল্যবোধ বিকাশে প্রতিটি মহল্লা/গ্রামে পাঠাগার, বিজ্ঞান ক্লাব, ক্রীড়া ক্লাব, মুক্ত মঞ্চ তৈরি এবং সংস্কৃতি কর্মী ও কবি-সাহিত্যিকদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান।
১০. সরকার প্রদত্ত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করাসহ সিটি কর্পোরেশনকে দূর্নীতি মুক্ত রাখা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলস ভূমিকা রাখা।
নাগরিক শত ভাবনা:
১. আগামী শত বছরের পরিকল্পনায় বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের মতামতাদের ভিত্তিতে সুপরিকল্পিত নগরায়নের রোড়ম্যাপ তৈরি।
২. দায়িত্ব গ্রহণের ৯০ দিনের মধ্যেই মৌলিক সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
৩. যানজট নিরসনে জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও পরিবহন মালিক সমিতিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।
৪. আধুনিক নগর পরিবহন ব্যবস্থা প্রণয়ন করে সুনিয়ন্ত্রত ও নারীবান্ধব গণ-পরিবহন নিশ্চিতকরণ।
৫. স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নগরকে উপযোগী করে গড়ে তোলা।
৬. বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন নাগরিকদের জন্য গণস্থাপনা ও বিশেষ সুবিধা নিশ্চিতকরণ।
৭. নগরীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে বহুতল ও আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং কমপ্লেক্স নির্মাণ।
৮. হকারদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
৯. সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি ই-লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা করাসহ শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-মূল্যবোধ বিকাশে প্রতিটি মহল্লা/গ্রামে পাঠাগার, বিজ্ঞান ক্লাব, ক্রীড়া ক্লাব, মুক্ত মঞ্চ তৈরি এবং সংস্কৃতি কর্মী ও কবি-সাহিত্যিকদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান।
১০. এলাকাভিত্তিক পথচারীবান্ধব ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্যে ফুটপাথ নেটওয়ার্ক তৈরি করা।
১১. কর্মজীবী নারীদের জন্য ইপিজেড এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ হোস্টেল স্থাপন।
১২. পরিকল্পিত স্মার্ট বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ।
১৩. প্রতিটি মহল্লার ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং সেন্সরের মাধ্যমে জলাবদ্ধতার স্থান ট্র্যাক করে সমাধান করা। জলাবদ্ধতা দূরকরণে সংশ্লিষ্ট নদী ও খালকে ঢেলে সাজানো।
১৪. উন্নত বিশ্বের ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে বছরব্যাপী মশা নিধন কর্মসূচি বাস্তবায়ন।
১৫. টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরআরএফ স্থাপনের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বর্জ্য অপসারণ ও জ্বালানি শক্তিতে রূপাস্তর।
১৬. তারুণ্যকে অনুপ্রাণিত করতে প্রতিবেশীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াতে শহরের সকল ওয়ার্ডে নিয়মিত পাড়া উৎসব উদযাপন।
১৭. বস্তিবাসীদের জন্য নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতকরণ।
১৮. প্রতিটি এলাকার জলাশয় দখলমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন করে নাগরিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া।
১৯. জনগণকে প্রদেয় কর্পোরেশনের সব সেবা যথা- বাণিজ্য লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধনপত্র, প্রত্যয়নপত্র, গৃহকর, আনুষঙ্গিক অন্যান্য করগুলো তথ্যপ্রযুক্তিগত সেবার আওতায় আনা হবে। সব ক্ষেত্রে অনলাইন সুবিধা সম্প্রসারণ করা। ঘরে বসেই কর এবং নির্ধারিত ক্ষেত্রে ফি পরিশোধ সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। কর্পোরেশন পরিচালনায় তথ্যপ্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনা প্রচলন করা এবং প্রতিটি ওয়ার্ডকে এর আওতাভুক্ত করা।
২০. বৃক্ষ অনুরাগীদের জন্য বৃক্ষ ক্লিনিক ও পোষ্য প্রাণী ক্লিনিক নির্মাণ করা।
২১. সকলের জন্যে নানা সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন এলাকাভিত্তিক মাতৃদুগ্ধ কক্ষসহ দৃষ্টিনন্দন উন্মুক্ত পার্ক ও আধুনিক খেলার মাঠ নির্মাণ।
২২. নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আধুনিক পশু জবাইকেন্দ্র স্থাপন করা ও ইদুল আযহায় পশু কোরবানী পর দ্রæততম সময়ে বর্জ্য অপসারণ করা।
২৩. সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি স্থাপনায় মাতৃদুগ্ধ কক্ষ নির্মাণ।
২৪. বিশেষভাবে সক্ষম এবং নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে সকলের জন্য পর্যাপ্ত আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ।
২৫. বিভিন্ন জায়গায় মিস্ট বেন্টায়ার এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বায়ুদূষণ কমানো।
২৬. প্রতিটি ওয়ার্ডে নানাবিধ সুবিধা সম্বলিত ওয়ার্ড কমপ্লেক্স তৈরি করা।
২৭. “নাগরিক কুমিল্লা” অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার অভিযোগ গ্রহণ ও সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে নাগরিক সুবিধি নিশ্চিতকরণ, যেখানে মেয়রের সাথে নাগরিকদের সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকবে।
২৮. ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে হোল্ডিং, ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা প্রদান।
২৯. ব্যবসায়ীদের কোন প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন না করে সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন কাঁচা বাজার ও মার্কেটগুলোর আধুনিকায়নের জন্যে চলবে স্ট্রাকচারাল অ্যাপগ্রেডেশন।
৩০. একটি সার্বক্ষণিক ডিজিটাল কমান্ড সেন্টার তৈরি যার মাধ্যমে শহরের নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্মার্ট নেইবারহুড পরিচালনা ইত্যাদি সম্পন্ন করা।
৩১. নগরের সার্বিক উন্নয়নে নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতিসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞগণের সহায়তায় সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ।
৩২. সকল খালের সংস্কার, উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন, মশা নিয়ন্ত্রণ. পাবলিক স্পেস বৃদ্ধি করা, টেকসই পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ।
৩৩. সুপরিকল্পিতভাবে আবাসন ব্যবস্থা গঠন, প্রতিটি ফ্ল্যাটের নিচতলায় যেন “ফ্ল্যাট লাইব্রেরি” থাকে সেটি নিশ্চিত করা ও ফ্ল্যাটের রুম বরাদ্দ/পরিকল্পনায় রিডিং রুম রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা।
৩৪. ব্যবসায়ী সমাজের ভোগান্তি কমাতে সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তৈরি হবে হেল্প ডেস্ক করা।
৩৫. কুমিল্লাকে একটি স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি এলাকাকে স্মার্ট নেইবারহুড হিসেবে গড়ে তোলা, পর্যায়ক্রমে প্রতিটি পাড়া-মহল্লাকে এই উদ্যোগের আওতায় আনা।
৩৬. তারুণ্যকে অনুপ্রাণিত করতে প্রতিটি এলাকায় সাংস্কৃতিক ও সেবাকেন্দ্র গঠন যেখানে থাকবে হেল্প ডেস্ক, ট্রেনিং সেন্টার, স্টার্ট-আপ কো -ওয়ার্কিং স্পেস, লাইব্রেরি, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও অন্যান্য সুবিধাদি সংযোজন।
৩৭. প্রতিটি এলাকার কমিউনিটি সেন্টরগুলোর আধুনিকায়ন ও বহুমুখী ব্যবহার (আর্ট ক্লাস, গানের ক্লাস, ইয়োগা, আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ) নিশ্চিতকরণ।
৩৮. জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ‘জনতার মুখোমুখি মেয়র’ শীর্ষক নিয়মিত মতবিনিময়ের মাধ্যমে ওয়ার্ড-ভিত্তিক সমস্যার সমাধান করা।
৩৯. সকল সেবাসমূহকে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল করা হবে এবং ই-সেবা চালু করা।
৩৮. ডিজিটাল নগর বুলেটিন বোর্ড করা। যেখানে প্রতিনিয়ত ব্রেকিং নিউজ, শহরের গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও, কর্পোরেশনের যাবতীয় তথ্য দেখানো।
৪০. মোবাইল লাইব্রেরির ব্যবস্থা করা। প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টারের সঙ্গে আধুনিক লাইব্রেরি গড়ে তোলা।
৪১. নগরীর মানচিত্র বা সিটি ম্যাপ করা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বড় বড় মানচিত্র টানানো। পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য আলাদা গাইড ম্যাপ বা নেভিগেশন ম্যাপ করা।
৪২. নাগরিকদের মনোনীত ২৭ ওয়ার্ডের ৫৪ জন সুনাগরিককে প্রতিবছর পুরস্কৃত করা।
৪৩. নাগরিক সেবা, অভিযোগ ও সমস্যা সমাধানে ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালু করা হবে। যেখানে ফোন করে নগরবাসী তাদের অভিযোগ, পরামর্শ ও মতামত জানাতে পারবে। সপ্তাহে/ মাসে একদিন মেয়রের সঙ্গে সরাসরি কথাও বলতে পারেন।
৪৪. একটি ‘নগর তথ্য কেন্দ্র’ খোলা। যেখানে নগরবাসী তার প্রতিটি সেবার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
৪৫. ওয়ার্ড ওয়ার্ডে সভা ও কেন্দ্রীয়ভাবে নগরসভা করা। নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া।
৪৬. নগর উন্নয়ন, পরিকল্পনা প্রণয়নে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা কাউন্সিল বা পরামর্শক কমিটি করা হবে।
৪৭. গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে নাগরিকদের মতামত নেয়া হবে।
৪৮. নগরীতে সেবা প্রদানকারী অন্যান্য সংস্থাগুলোর মধ্যে দক্ষ সমন্বয় গড়ে তোলা হবে এবং ঐসব সংস্থাগুলোর সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া।
৪৯. নিজস্ব মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
৫০. মানবিক উন্নয়নের কুমিল্লায় কর্মজীবী মায়েদের সুবিধার্থে পর্যায়ক্রমে ২৭টি ওয়ার্ডে একটি করে আধুনিক ডে-কেয়ার সেন্টার কাম প্রিস্কুল করা।
৫১. প্রতিবন্ধী, শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্ক নাগরিকদের জন্য ডিসকাউন্ট ও বিশেষ সেবা সম্বলিত ‘সিটি কার্ড’ প্রবর্তন করা।
৫২. ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বিনোদন চর্চায় একটি নাগরিক কেন্দ্র (সিভিক সেন্টার) করা। জোনগুলোতে পর্যায়ক্রমে ৫টি সাংস্কৃতিক মঞ্চ নির্মাণ করা।
৫৩. এলাকাভিত্তিক লাইব্রেরি, সংস্কৃতি বিকাশ ও চর্চাকেন্দ্র তৈরি করা।
৫৪. সিটি কর্পোরেশন একটি অনুদান তহবিল প্রতিষ্ঠা করবে। যার মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়, এতিমখানা ও কমিউনিটির নানা উদ্যোগে অনুদান দেয়া।
৫৫. ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহায়তা দেবার জন্য তাদের ডাটাবেইজ তৈরি করা।
৫৬. অঞ্চলভিত্তিক প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলার উদ্যোগ নেবে সিটি কর্পোরেশন।
৫৭. ব্যাপকমাত্রায় কর্মসংস্থান ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরির কর্মসূচি নেয়া।
৫৮. স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য পর্যায়ক্রমে স্বল্পমূল্যের বাসস্থান নির্মাণ করা।
৫৯. সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করা।
৬০. সাংবাদিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মীদের জন্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় একটি রিক্রিয়েশন বা মিডিয়া সেন্টার করা হবে। পাশাপাশি আকর্ষণীয় আর্থিক মূল্যের ‘সিটি কর্পোরেশন বেষ্ট রিপোর্টিং পুরস্কার বা এ্যাওয়ার্ড’ চালু করা প্রথম বছর থেকে।
৬১. নিরাপদ স্বাস্থ্য গঠনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এরিস্টটল বলেছেন, মানুষ শহরে আসে জীবিকার আশায়, আর এসে স্থায়ীভাবে থেকে যায় উন্নত ও সুন্দর জীবনের প্রত্যাশায়। উন্নত ও সুন্দর জীবনের জন্য সবার আগে প্রয়োজন নিরাপদ স্বাস্থ্যকর নগর। মশার উত্পাত নাগরিকদের অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যার একটি এবং এটি সংক্রামক ব্যধিরও কারণ। তাই মশক নিধন কর্মসূচী হিসেবে শহরের ভেতরের সব ড্রেন, নালা ও মশা উত্পাদিত হয় এমন জায়গাগুলোতে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো।
৬২. ফরমালিনমুক্ত ও নিরাপদ বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া। স্বাস্থ্যহানিকর খাবার ও ভেজালের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো। পাশাপাশি বিভিন্ন বাজারে উৎপাদিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা নেয়া।
৬৩. আরবান হেলথ কেয়ার বা নগর স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে স্বল্প-নিম্ন আয় ও বস্তিবাসী নাগরিকদের জন্য সুলভে চিকিৎসা দেয়া। নগর স্বাস্থ্যসেবা আরো প্রসারিত করা।
৬৪. নগরীর বিভিন্ন জোনে নারী সহ সকলের জন্য আধুনিক শৌচাগার নির্মাণ করা। পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানো।
৬৫. ‘অঞ্চলভিত্তিক সমীক্ষা’র ওপর ভিত্তি করে কলকারখানার দূষণ কার্যক্রম পরিশীলিতকরণ, অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কাজকে যথাযথকরণে দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া। এ বিষয়ে জনসচেতনতা কার্যক্রম নেয়া।
৬৬. নাগরিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকে অনলাইনের আওতায় আনা।
৬৭. নগরীর অবহেলিত উন্মুক্ত স্থানসমূহ সবুজায়নের পাশাপাশি ‘সূর্যোদয়ের পূর্বেই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম’ নিশ্চিতকরণ, শীতের শুকনো দিনগুলোতে সড়কে ও সড়কের পার্শ্বস্থ বৃক্ষরাজিতে জল সিঞ্চনের মাধ্যমে ধুলা-বালি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে আধুনিকীকরনের উদ্যোগ নেয়া।
৬৮. মাদক ও সামাজিক অনাচার প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া।
৬৯. নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা।
৭০. দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে নির্মাণাধীন ভবনের ওপর নানা বিধি নিষেধ আরোপ করা।
৭১. প্রতিটি সড়কে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেয়া। নিয়মিত ভিত্তিতে কর্পোরেশন সড়কগুলো মনিটরিং করবে। ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলো সবসময় তদারক এবং সংস্কার করা।
৭২. নকশায় প্রতিবন্ধীদের চলাচল উপযোগী ব্যবস্থা না থাকলে নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুমোদন না দেয়া ।
৭৩. জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় থানার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলবে সিটি কর্পোরেশন।
৭৪. পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও পরিবেশবান্ধব কুমিল্লাকে ‘নাগরিকের সুস্বাস্থ্য’ নগর ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটি। পরিচ্ছন্ন ও সবুজের সঙ্গে নাগরিকের স্বাস্থ্যের বিষয়টি জড়িত। স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত সরাসরি উৎপাদন ও উন্নয়নের সম্পর্ক। তাই সবার আগে নিশ্চিত করতে চাই পরিচ্ছন্ন, সবুজ এবং পরিবেশবান্ধব কুমিল্লা। রাস্তাঘাট, বাসা-বাড়ি নির্মাণ এবং নগর পরিকল্পনায় সবুজকে প্রাধান্য দেয়া। সবুজ কুমিল্লা গড়ে তুলতে এলাকাভিত্তিক পরিকল্পিত বনায়ন করা। বাড়িভিত্তিক সবুজায়ন উৎসাহিত করা।
৭৫. নগর পরিকল্পনায় পরিবেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া। নগরায়ণ হবে পরিবেশ বান্ধব। জল, জমি, বায়ু, শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়া। শব্দদুূষণ নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করতে ব্যাপক প্র
চারনা চালানো। পাশাপাশি ‘শব্দসীমা’ বিষয়ে প্রণীত আইন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অধিদফতর ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিলে সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৭৬. শহরের ভেতরের পার্ক, মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান চিহ্নিত করা। বেদখল পার্ক, মাঠ, উদ্ধার করে শিশু/ তরুণ/তরুণীদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার উপযোগী করে নির্মাণ করা। পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানগুলোকে ঘিরে পরিকল্পিত বৃক্ষায়ণ করা।
৭৭. এলাকাভিত্তিক জলাবদ্ধতা দূরীকরণে স্থানীয় এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সাপেক্ষে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া। পাশাপাশি জলবদ্ধতা নিরসনে নিয়মিত এবং বিশেষভাবে বর্ষা মৌসুমের (ফেব্রæয়ারি-মার্চ) পূর্বেই ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা।
৭৮. নগরে সড়ক খননের ক্ষেত্রে (জরুরি পরিস্থিতি বাদে) সেবাদানকারী সব সংস্থাকে খননের কাজ সমন্বিতভাবে শুষ্ক মৌসুমে (নভেম্বর থেকে ফেব্রæয়ারি) শেষ করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া। একইভাবে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া।
৭৯. ড্রেন পরিষ্কারে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির বাহন আনা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যেভাবে ড্রেন থেকে ময়লা পরিস্কার করা হয় ধীরে ধীরে তেমন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। ড্রেনগুলো সচল রাখতে সচেতনতা ও স্থানীয় উদ্যোগ সৃষ্টির প্রয়াস নেয়া।
৮০. আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা আমাদের লক্ষ্য। নগর পরিচ্ছন্ন রাখতে ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও দাতাদের সহায়তা নেয়া।
৮১. ময়লা, আবর্জনা, দুর্গন্ধ থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে পর্যায়ক্রমে সড়ক থেকে ময়লার ভাগাড়গুলো (ডাস্টবিন) সরিয়ে নেয়া। এর পরিবর্তে এলাকাভিত্তিক ময়লা সংরক্ষণ (ডাম্প) কেন্দ্র গড়ে তোলা।
৮২. গৃহস্থালি বর্জ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাসা-বাড়িতে তিন রঙ্গের বিন (ময়লা রাখার পাত্র) সরবরাহ করা। যেখানে নগরবাসী জৈব, লোহা ও প্লাষ্টিক জাতীয় বর্জ্য আলাদা বিনে সংরক্ষণ করা। পাশাপাশি প্রধান সড়কগুলোর দু’পাশে ময়লা ফেলার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে আলাদা বিন বসানো।
৮৩. বর্জ্য উত্পাদন কমাতে নাগরিক আন্দোলন বা সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেয়া। বর্জ্য রিসাইকেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও সারের মতো সম্পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া।
৮৪. বর্জ্য সংগ্রহ পদ্ধতি পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত থেকে আচ্ছাদিত পদ্ধতিতে নিয়ে যাওয়া। সড়কের ধুলো-বালি ও আবর্জনা পরিষ্কার করতে যান্ত্রিক ভ্যাকুয়াম ট্রাক ক্রয় ও ব্যবহার করা।
৮৫. শহরের ভেতরের খালগুলোতে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো। খালগুলোর উভয় পাড়ে যেখানে সম্ভব হাঁটার পথ ও সুশোভিত বৃক্ষরাজির সমাহার ঘটানো।
৮৬. নতুন বৃক্ষরোপন কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি বৃক্ষরাজির যথাযথ পরিচর্যা, সংরক্ষণ ও বৃক্ষ বিরোধী ক্ষতিকর কার্যক্রমের বিরুদ্ধে (গাছের গায়ে বিজ্ঞাপন, উন্নয়ন অজুহাতে বৃক্ষনিধন, বৃক্ষের গোড়া পাকাকরণ ইত্যাদি) প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া।
৮৭. কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্র ধর্মসাগর পার্ককে বাণিজ্যমুক্ত ও শব্দ দূষণ মুক্ত করে নগরবাসীর স্বস্তির জায়গায় নিয়ে আসা।
৮৮. সুপরিকল্পিতভাবে আবাসন ব্যবস্থা গঠন ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে পদক্ষেপ।
৮৯. আগামী প্রজন্মকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে কিশোর গ্যাং, মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত নগর গড়া।
৯০. শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-মূল্যবোধ বিকাশে প্রতিটি মহল্লা/গ্রামে পাঠাগার, বিজ্ঞান ক্লাব, ক্রীড়া ক্লাব, মুক্ত মঞ্চ তৈরি এবং সংস্কৃতি কর্মী ও কবি-সাহিত্যিকদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান।
৯১. কুমিল্লা ঐতিহ্য গোমতী নদীকে ঢেলে সাজানো। নগরবাসী যেন যান্ত্রিক জীবন থেকে মুক্ত হয়ে একটুখানি স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
৯২. কুমিল্লার যানজটের ক্যান্সারখ্যাত শাসনগাছা বাস টার্মিনালকে আলেখারচর বিশ্বরোড় সংলগ্ন স্থানে স্থানান্তরিত করা এবং জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনালকে কেন্দ্র করে যে যানজন তৈরি হয় তা নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণ।
৯৩. যানজট নিরসনে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো পুলিশলাইন, টমছমব্রীজ ও চকবাজার পার হয়ে যেন শহরে প্রবেশ না করতে পারে সে ব্যবস্থা করা।
৯৪. এক সময়ের ব্যাংক ও ট্যাংকের শহর কুমিল্লাকে স্বরূপে ফিরিয়ে আনা বিশেষ করে জলাশয় ও পুকুর ভরাটে শক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ।
৯৫. মুক্তচর্চায় কুমিল্লার সকল স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পরিবেশ, শিক্ষা ও অন্যান্য সংগঠনের অফিস ও কর্মশালা করণে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগ একটি যথোপযুক্ত স্থান নির্বচন করে সহায়তা করা।
৯৬. নগরীর প্রতিটি সড়ক সংযোগ স্থানে কুমিল্লা বরেণ্য ব্যক্তিদের প্রতিকৃতি ও বইয়ের মুরাল স্থাপন।
৯৭. সিটি প্রশাসনের প্রতিটি সেক্টরে নিয়মিত শুদ্ধাচার সেমিনার ও সফল ব্যক্তিত্বকে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা।
৯৮. প্রতিটি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যায় ও মাদ্রাসাসহ প্রতিটি রাস্তার নামকরণসহ রাস্তায় ফলকে কুমিল্লার স্মরনীয় ও বরণীয় ব্যক্তিদের ছবিসহ জীবনী সংযোজন করা।
৯৯. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে ০৩টি আধুনিক স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা।
১০০. সরকার প্রদত্ত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করাসহ সিটি কর্পোরেশনকে দূর্নীতি মুক্ত রাখা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠাই আমার বড় অভিপ্রায়।
শত ভাবনায় তথ্য ও তত্ত্বে সহায়তা নেওয়া হয়েছে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রগুলো থেকে:
০১. গত দশ বছরে কুমিল্লা মহানগরীতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সভা, সেমিনারে প্রদত্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য, পরামর্শ ও সুপারিশ পর্যালোচনা করা হয়েছে।
০২. গবেষণা করা হয়েছে দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের সফল রূপরেখা।
০৩. কুমিল্লার বিশিষ্ট নাগরিকদের কুমিল্লার স্থানীয় পত্রিকায় প্রদত্ত কলাম, মতামত পর্ব পর্যালোচনা ।
০৪. দেশের জাতীয় পত্রিকায় দেশ বরেণ্য ব্যক্তিদের মতামতের অংশও ক্ষেত্র বিশেষে সংযুক্ত করা হয়েছে।
কলমে:
মো: ইমাম হোসাইন
উদ্যোক্তা
পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ
জাতীয় যুব সংসদ বাংলাদেশ
ধর্মসাগর পাড়, কুমিল্লা।