বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
আজ ১৯ জুলাই ২০২২। গভীর শ্রদ্ধা এবং পরম ভালোবাসায় স্মরণ করছি বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে। এই দিনে ওফাত লাভ করেন বিংশ শতাব্দীর জননন্দিত বাঙ্গালি কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। শুধু কথা সাহিত্যিকের উপমায় বিশেষায়িত করলে হিমু এবং নন্দিত নরকের অমর স্রষ্টার প্রতি অবিচার করা হবে। হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন একাধারে কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার ,নাট্যকার, গীতিকার, চিত্র নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত ছিলেন।
বাংলা সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদ শুধু একটি নামই নয়, একটি ইতিহাসও বটে। বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় এই গুণী ব্যক্তিত্বের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলাদেশকে অনেক দিয়েছেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই কৃতিব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশকে পৌঁছে দিয়েছেন এক অনন্য উচ্চতায়। তার বেশ কিছু লেখা পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।যা গোটা বাঙ্গালি সম্প্রদায়ের জন্য পরম গৌরবের বার্তা বহন করে। হুমায়ূন আহমেদের লেখা খুব দ্রুত মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করে।আজ হুমায়ূন আহমেদ নেই,কিন্তু যুগে যুগে তিনি বেঁচে থাকবেন তাঁর পাঠক ভক্তদের মন মন্দিরে।
২০০ গল্প গ্রন্থ ও উপন্যাস রচনা করেছেন বাংলা সাহিত্যের এই মানসপুত্র। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার অংশ হিসেবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয় বাংলাদেশের কলম যাদুঘর খ্যাত মিসির আলির রচয়িতা হুমায়ূন আহমেদকে। হুমায়ূন আহমেদের লেখা যুগে যুগে মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। কালজয়ী কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল,কলেজ,বিশ্ব বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত।
বাংলা সাহিত্যের প্রান পুরুষ হুমায়ূন আহমেদের আবির্ভাবে বাংলা সাহিত্য আরো বেগবান এবং গতিশীল তথা সমৃদ্ধ হয়েছে। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য এই ঔপন্যাসিক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।তাছাড়া তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও লাভ করেন।পরপারে ভালো থাকুক বাংলা সাহিত্যের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র।
লেখক: মোঃ নাছির প্রধান