বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৪ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক: মহেশখালী উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও মহেশখালী উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শফিউল আলম শফি নিজ দলের সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়ে ১৩ই আগস্ট দুপুর ২ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
১৫ই আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল১১টায় নতুন বাজার সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজায় কক্সবাজার জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় খুনীদের ফাঁসির দাবিতে বিএনপি নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেন। নিহত শফিউল আলম(৪৫) তার পিতা কামাল পাশা, সে ছোট কুলালপাড়া বড়মহেশখালীর বাসিন্দা।
খুনি নাহিদ
গত ৫ই আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর মিছিল শেষে রাত ১১ টায় মহেশখালী পৌরসভার বানিয়ার দোকান এলাকায় পৌছালে বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদের নির্দেশে মহেশখালী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহেদুল হক নাহিদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার উপর হামলা করেন বলে অভিযোগ করেন মহেশখালী উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং জেলা শ্রমিক দল নেতৃবৃন্দ।
পৃথক পৃথক সাংবাদিক সম্মেলনে মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিকী ও কক্সবাজার জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন। নিহত বিএনপি নেতা শফিউল আলম শফি বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে হত্যায় নির্দেশদাতা আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আশিক উল্লাহ রফিকের চাচা। হত্যাকারী জাহিদুল হক নাহিদ উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক এবং আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের চাচাত ভাই। দলীয় আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবত বিরোধ চলমান ছিল। হত্যাকারী জাহিদুল হক নাহিদ কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল আহমেদের মেয়ের জামাই। কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল আহমেদ তাঁর মেয়ের জামাই কে বাঁচাতে বিভিন্ন মহলে প্রচেষ্টা ও তোরজোড় শুরু করেছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মহেশখালী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াদ মোহাম্মদ আরাফাত বলেন, কার নির্দেশে কারা কারা শফিউল আলম শফির উপর হামলায় জড়িত চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিউল আলম শফি তাদের নাম বলে গেছেন। আমি এই হত্যাকাণ্ডের সুস্হ বিচার চাই।
দৈকাধ/আর